স্পিডবোট সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জনের লাশ উদ্ধার

মাদারীপুর প্রতিনিধি : কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুটে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুটি স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় তিন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

শনিবার লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। বিকেলে দুই যুবকের এবং সন্ধ্যা ৬টার পর এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃতরা হলেন ফরিদপুরের ভাঙ্গার পুলিশ কনস্টেবল হায়দার হোসেনের স্ত্রী হোসনে আরা লিপি (৩২), বরিশালের বিমানবন্দর এলাকার মিলন মৃধার ছেলে মনোয়ার মৃধা (১৮) ও অপরজন শিবচরের তালতলা এলাকার রহিম মাদবরের ছেলে ইব্রাহিম মাদবর।

এদিকে ঘটনার পর দায় এড়াতে শিবচর থানা পুলিশ নিখোঁজের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারকে হয়রানি ও অসহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কাওড়াকান্দি ঘাট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ঘন কুয়াশার মাঝেই শিমুলিয়া থেকে যাত্রীবাহী একটি স্পিডবোট কাওড়াকান্দি ঘাটের কাছাকাছি পৌঁছলে, কাওড়াকান্দি থেকে ছেড়ে যাওয়া অপর একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোটের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় বোটই পানিতে ডুবে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে যাত্রীরা সাঁতরে এবং অন্য বোট দ্বারা উদ্ধার হয় বলে বলা হয়।

কিন্তু লিপি বেগম নিখোঁজ রয়েছেন বলে ডুবে যাওয়া একটি স্পিডবোট যাত্রী সফিকুল ইসলাম দাবি করেন। সফিকুল লিপির ভাই। তবে তখন নিখোঁজের বিষয়টি স্পিডবোট মালিক ও পুলিশ চেপে যায়। তারপরও ধারণা করা হচ্ছিল একজনই নিখোঁজ ছিল।তবে দুর্ঘটনার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের পর নিখোঁজদের সন্ধানে আজ সকালে পদ্মাপাড়ে আরো দুজনের পরিবার আসে।

এদিকে লাশ উদ্ধারে শনিবার সকাল থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের শিবচর, ভাঙ্গা টিমের সঙ্গে ঢাকার ডুবুরি দল অভিযান শুরু করে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মনোয়ার ও ইব্রাহিমের লাশ উদ্ধার করে ডুবুরি দল। পরে সন্ধ্যায় লিপির লাশ উদ্ধার হয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিবচর থানার এএসআই আলামগীর হোসেন বলেন, আমাদের ধারণা ছিল একজন নিখোঁজ রয়েছে। সেভাবেই তল্লাশি চলছিল। সকালে আরো একজনের পরিবার নিখোঁজের তথ্য জানায়। আরেকজন সাংবাদিকদের কাছে তার ভাই নিখোঁজের বিষয়টি জানায়। পরে তল্লাশি করা হলে তিনজনের লাশ পাওয়া যায়।