স্বাস্থ্যখাতের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ৪০ হাজার শূন্যপদে লোক নিয়োগ হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিগগিরই স্বাস্থ্যখাতের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ৪০ হাজার শূন্যপদে লোক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) নবনির্বাচিত কমিটি মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এ পদগুলো শূন্য থাকায় স্বাস্থ্যসেবাকে কাঙ্ক্ষিত মানে উন্নীত করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকার ৬ হাজার চিকিৎসক ও ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসক ও নার্স সংকটের সমাধান করেছে। কর্মচারী পর্যায়ের খালি পদ পূরণের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে।

গত সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ১১ হাজার ১৯৫টি শয্যার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় আর্থিক মঞ্জুরি প্রদান করেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রশাসনিক অনুমোদনের মধ্য দিয়ে দেশের বেশ কিছু হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ালেও দীর্ঘদিন ধরে বাড়তি শয্যাগুলোর জন্য আর্থিক বরাদ্দ ছিল না। ফলে পূর্বের শয্যা সংখ্যার বাজেট দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছিল। বর্তমান সরকারের সময়ে এই বরাদ্দ প্রদানের ফলে দেশের দরিদ্র রোগীরাই বেশি উপকৃত হবে।

বিএমএ’র নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের রাষ্ট্রে উন্নীত হওয়ার যাত্রাপথে দেশের স্বাস্থ্যখাতে গত আট বছরে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এই অর্জনকে আরো ঊর্ধ্বে তুলে ধরার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় তিনি দেশের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব চিকিৎসককে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিএমএ নেতৃবৃন্দকে কাজ করার নির্দেশ দেন।

সাক্ষাৎকালে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সাফল্য অর্জন করায় প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বিএমএ নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকারকে সহযোগিতা করবে বিএমএ। পাশাপাশি অবৈধ হাসপাতাল, ভুয়া চিকিৎসক ও মানহীন মেডিক্যাল কলেজ এবং ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরিচালিত অভিযানকেও সহায়তা করার আশ্বাস প্রদান করে বিএমএ।

এ সময় স্বাস্থ্য সচিব সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল আহসান খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।