আজিজুল ইসলাম বারী,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃস্কুল লেভেল ইমপ্লেমেন্টেশন প্রজেক্ট’র (স্লীপ) বরাদ্দকৃত ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকা উত্তোলনের ছয় মাস পেড়িয়ে গেলেও প্রকল্প সমূহ বাস্তবায়ন করেননি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাশীরাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতী রানী সরকার।
স্লিপ প্রকল্পের টাকার ভাগ নিয়েছেন অনেকে। এখন কাজ করতে হবে প্রধান শিক্ষককে। কাজের চাপ দিলেই ভাগের টাকা ফেরৎ দিতে হবে । এমন আশংকায় সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা পড়েছেন বিপাকে।
প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি ও বিদ্যালয়কে দৃশ্যমান করে তোলার লক্ষ্যে সরকার অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। বরাদ্দকৃত স্লীপ প্রকল্প ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেট পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত আইটেম সমূহ হচ্ছে, সাইন্ড বক্স দু’ হাজার টাকা, সীম সহ মোবাইল দু’ হাজার টাকা, বাংলাদেশের গণহত্যা বই ১২শ’৫০ টাকা, সরকারী বই (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ৫শ’ টাকা, পাঠ সংশ্লিষ্ট উপকরন পাঁচ হাজার টাকা, একটি শ্রেনী কক্ষ সজ্জিত করন (মান সম্মত) পাঁচ হাজার টাকা, শহিদ মিনার, পতাকা স্ট্যান্ড ও মঞ্চ তৈরী ১৯ হাজার ২৫০ টাকা, ব্রেঞ্চ মেরামত (দরকার হলে) ৫ হাজার টাকা। এছাড়া প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর বিভিন্ন শিক্ষা উপকরন ক্রয়ের জন্য পাঁচ হাজার টাকা। প্রতিটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লীপ প্রকল্পের ৪০ হাজার টাকা সহ মোট ৫০ হাজার টাকা সরকার বরাদ্দ দিয়েছে।ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভারতী রানী সরকার বরাদ্দকৃত অর্থ যথা সময়ে উত্তোলন করেছেন, কিন্তু অর্থ বছর শেষ হওয়ার ৬ মাসেও উলেখিত কাজ সমুহ করেননি।
ওই স্কুলের সভাপতি জগোদিশ চন্দ্র রায় টাকা উঠিয়ে কাজ না করার কথা শ্বিকার করে বলেন, এখনও কাজ আমরা শুরু করিনি তবে করবো।এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার দাশ জানান, এক ডের মাস পুর্ব স্কুল ভিজিটের সময় শহিদ মিনার সহ কাজগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছি।জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক ভারতী রানী সরকার বলেন, কিছু কাজ হয়েছে, আমাদের বাজেট পরিকল্পনায় শহিদ মিনার সহ কিছু কিছু আইটেম নেই। আর এটি তো আমার একার সিদ্ধান্তে হয়নি। টিও স্যার আমাকে শহিদ মিনার বানানোর কথা বলেছে, আমি স্যারকে বলেছি যে আমি টাকা পাবো কোথায়।