উত্তরায় গার্ডার পড়ার ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার

রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেটকারের ওপর নির্মাণাধীন বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার পড়ে হাতাহতের ঘটনায় ব্যবহৃত ক্রেনের ওজন সরানোর সর্বোচ্চ সক্ষমতা ৫০ টন ছিলো। কিন্তু যে গার্ডারটি সরানো হচ্ছিলো সেটির ওজন ৬০ থেকে ৭০ টন। এছাড়া, ক্রেনটির ফিটনেস সার্টিফিকেটও ছিলো মেয়াদোত্তীর্ণ। আনুমানিক ১৯৯৬-৯৭ সালে কেনা ত্রুটিপূর্ণ এই ক্রেনে কাউন্টার লোড ছাড়াই গার্ডার স্থাপনের কাজ চালানো হচ্ছিলো। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

উত্তরায় একই পরিবারের পাঁচজন নিহতের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতারের বিষয় জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বিআরটি প্রকল্পে থার্ড পার্টি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিল্ড ট্রেড ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে ক্রেনটি সরবরাহ করে। ক্রেনটি আনুমানিক ১৯৯৬-৯৭ সালে আনা হয়েছিল। এটি ৮০ টনের ক্রেন হলেও বর্তমান সক্ষমতা ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টন। গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, ক্রেনটির ফিটনেস ছিল না। অতিরিক্ত ভার বহন করায় ক্রেনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ ধরনের গার্ডার স্থানান্তর করতে কাউন্টার লোড ব্যবহার করা উচিৎ ছিলো। এছাড়া, আরেকটি ক্রেন পাশাপাশি স্ট্যান্ডবাই রাখা উচিৎ ছিলো তাদের। এমনকি যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা উচিৎ সেটিও ছিলোনা।