ঠাকুরগাঁওয়ে গাছে বেঁধে যুবক নির্যাতনে মামলা ধামাচাপা দিতে সাংবাদিকসহ ৫জনের নামে মামলা

মোঃ জয়নাল আবেদিন রুহিয়া থানা ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে গাছে বেঁধে নাসিরুল (২১)কে অমানবিক নির্যাতন করার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা ধামাচাপা দিতে মেয়ের বাবা করিমুল বাদী হয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিক মাহবুব সহ ৫ জনের নামে অপহরণ ও ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করেন।
প্রসঙ্গঃ রানীশংকৈল উপজেলার ভাংবাড়ি গ্রামের করিমুল ইসলাম এর মেয়ে কেয়ার সাথে একই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে নাসিরুল ইসলাম এর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর একপর্যায়ে তারা গোপনে বাড়ি থেকে পালিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও নোটারি পাবলিক অফ বাংলাদেশ কার্যালয়ে বিয়ে করেন।
এরপর তারা পালিয়ে নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করেন। কয়েকদিন পর বিয়ে মেনে নেওয়ার কথা বলে দুই পরিবারের উদ্যোগে তাদেরকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। বাড়িতে ফিরে এসে মেয়ে এবং ছেলে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন।
এমতাবস্থায় গত ২০সেপ্টেম্বর  বিকেলে নাসিরুল ভাংবাড়ি বগুড়া পারা স্কুলের দিকে বেড়াতে গেলে তাকে করিমুল ও তার পরিবারের লোকজন আটক করে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করে।
পরদিন এই নিয়ে নাসিরুলের বাবা রাণীশংকৈল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নাসিরুলকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর  মেয়ের মা সেলিনা আক্তারকে গ্রেফতার করে। ওই দিনে নাসিরুলের বাবা খলিলুর রহমান ৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সে সূত্রে থানা পুলিশ গত ২৭ সেপ্টেম্বর মূল আসামি মেয়ের বাবা করিমুলকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক মাহবুব আলম বলেন, নির্যাতিত ওই যুবক নাসিরুল আমার বংশীয় চাচাতো ভাই তাকে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন করে   করিমুল ও তার লোকজন। এনিয়ে সংবাদ পরিবেশন এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার কারণে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অপহরণ বা এধরনের কোন অন্যায় কাজে আমি জড়িত নয় বলে জানান সাংবাদিক মাহবুব আলম। আমার বিরুদ্ধে এটা একটা ষড়যন্ত্র মূলক চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং থানা পুলিশকে সঠিক তদন্ত করার অনুরোধ জানাচ্ছি মাহবুব ছাড়াও অন্যান্য আসামিরাও মামলাকে হয়রানিমূলক বলে দাবি করছেন।